জুলাই বিপ্লবকে, জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিসমূহ সমভাবে ধারণ করছে না বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। সোমবার (১৪ এপ্রিল) বেলা ১১টায় ইস্কাটন গার্ডেনের নেভি গলিতে ‘এনসিপি বৈশাখ উদযাপন ১৪৩২’ অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নববর্ষের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হচ্ছে নবায়ন করা, হালখাতার মাধ্যমে ধার-দেনা শোধ করা। আমরা চাই রাষ্ট্রেরও নবায়ন হউক। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই নবায়নের সূচনা হয়েছে। জুলাই বিপ্লব আমাদের নতুন রাষ্ট্র, নতুন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা আমাদের মধ্যে তৈরি করছে। যদি সেই নবায়ন তৈরি না হয়, রাষ্ট্র যদি গুণগত মৌলিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে না যায়, যদি একই রাষ্ট্র থেকে যায় তাহলে আমাদের জুলাই বিপ্লব ব্যর্থ হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা ইতোমধ্যে দেখছি, জুলাই বিপ্লবকে, আকাঙ্ক্ষাকে ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিসমূহ সমভাবে ধারণ করছে না। আমরা স্পষ্টভাবেই জুলাই বিপ্লবের সময়ও বলেছিলাম, আমাদের ঘোষণাটা ছিল ফ্যাসিবাদের বিলোপ, একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের প্রতিষ্ঠা। এই গণঅভ্যুত্থান কেবল কোনো ব্যক্তি পরিবর্তনের জন্য না, দলের পরিবর্তনের জন্য না। রাষ্ট্রের আমূল কাঠামো পরিবর্তন, মানুষের ন্যায় বিচার পাবার অধিকার ও একটি ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন।
সংস্কারের ধারাবাহিকতা দ্রুত কার্যকর করা উচিৎ মন্তব্য করে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, নাগরিক পার্টি বিচার, সংস্কার এবং গণপরিষদ নির্বাচনের এজেন্ডা সামনে নিয়ে আগাচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই আমরা বিচার এবং সংস্কার কার্যক্রম দেখতে চাই। বিচার এবং সংস্কারের রোডম্যাপ চেয়েছি সরকারের কাছে। যা সংস্কারের মধ্য দিয়েই গণপরিষদ এবং আইন সভার দিকে আগাতে চাই। আমরা মনে করে এই কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে আমাদের জাতিগত নবায়ন সম্ভব।
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, রাষ্ট্র যন্ত্রের যে সব বিষয়ে সংস্কার প্রয়োজন, যা না হলে সাংবিধানিক পর্যায়ে যে স্বৈরতন্ত্র ফিরে আসার সুযোগ পায় সে সব বিষয়ে অবশ্যই অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করবে এবং পরবর্তী সরকার যে সমস্ত সংস্কারকে অব্যাহতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
তিনি বলেন, আমরা অনেকক্ষেত্রেই বাংলা সনকে ভুলে যাই অথচ আমাদের প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা এখনো চাষাবাদের আয়োজন বাংলা মাসের হিসেবেই করেন। অনেক ক্ষেত্রে বাংলা সনকে অবহেলার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আমরা আশা করবো রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যেন আমরা বাংলা সনের গুরুত্ব অনুধাবন করি।
খুলনা গেজেট/জেএম